রক্তচাপ বেশি হবার যথেষ্ট কারণ তো আমাদের আশেপাশেই ছড়িয়ে আছে। পরীক্ষার ফল ভালো হবে তো? জরুরী প্রেজেন্টেশনটা ভালো হয়েছে তো? শখ করে কেনা গিফটটা স্ত্রীর যদি পছন্দ না হয়? এমনই হাজারো কারণে রক্তচাপ বেড়ে গেলে কী করবেন? জেনে নিন রক্তচাপ কমানোর ছোট্ট একটি কৌশল।
যারা ঘুমাতে বেজায় পছন্দ করেন, তাদের জন্য সুসংবাদ, দুপুরের দিকে একটুখানি ঘুম আপনার রক্তচাপ কমাতে পারে। শুধু যে রক্তচাপ কমায় তাই না, বরং এই ঘুমটা আপনার হার্ট অ্যাটাক এবং অন্যান্য হৃদরোগের ঝুঁকিও কমায় অনেকখানি।
অস্বাভাবিক রকমের উচ্চ রক্তচাপের সমস্যা হলো হাইপারটেনশন। এই সমস্যায় ভোগা ৪০০ জন মধ্যবয়সী মানুষের মানুষকে নিয়ে গবেহসনা করা হয়। এতে দেখা যায়, যারা দুপুরের দিকে ঘুমিয়ে নেন, ২৪ ঘন্টার মাঝে তাদের রক্তচাপ ৫ শতাংশ কম থাকে। এটা খুব ছোট একটি পার্থক্য মনে হলেও এর কারণেই ১০ শতাংশের মতো কমে আসতে পারে হৃদরোগের ঝুঁকি।
ঘুমের সময়সীমা যতো বেশি হবে, উচ্চ রক্তচাপ তত প্রশমিত হবে। সবচাইতে ভালো ফলাফলের জন্য এক ঘন্টা ঘুমানোটাকে ভালো মনে করা হয়।
এই গবেষণায় যারা অংশ নেনে, তাদের হাইপারটেনশন ছিলো কন্ট্রোলড বা স্থিতিশীল। অস্থিতিশীল হাইপারটেনশন যাদের ছিলো, তাদের ক্ষেত্রে এই পদ্ধতি কাজ করবে কিনা তা নিশ্চিত নয়।
অনেকে মনে করতে পারেন দুপুরে শুধুমাত্র বিশ্রাম নিলে কমে যাবে রক্তচাপ। কিন্তু আসলে এর জন্য প্রয়োজন ঘুম। ঘুমের REM পর্যায়ের ঠিক আগে রক্তচাপ কমে যায় সবচাইতে বেশি তাই। ঘুমানোটা প্রয়োজন।
এটা ঠিক যে নয়টা-পাঁচটা অফিসের মাঝে দুপুরে ঘুমানোর চিন্তা করাটা আসলেই অদ্ভুত। কিন্তু লাঞ্চ ব্রেকের মাঝে কিছুটা সময় করে ঘুমিয়ে নিতে পারলে আসলে আপনার উচ্চ রক্তচাপের সমস্যাটা অনেক কমে যাবে।
Sign up here with your email
ConversionConversion EmoticonEmoticon